সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির মদদে বাংলাদেশি যুবকদের বিপজ্জনক অংশগ্রহণ: জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি তৈরি

ডেস্ক নিউজ 

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির মোট ম্যানপাওয়ারের ৩৭% থেকে ৩৯% গঠিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক—বিশেষ করে মার্মা, রাখাইন (মগ), চাকমা এবং তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের যুবকদের নিয়ে। তারা দলে দলে আরাকান আর্মির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাদের অনেকেই পাচ্ছে ৮,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মাসিক স্যালারি, পাশাপাশি ইয়াবা ও আফিমের অবৈধ ব্যবসাতেও তারা যুক্ত হচ্ছে। এই প্রবণতা শুধু আর্থিক নয়, বরং একটি সাংগঠনিক ও নিরাপত্তাজনিত হুমকি হিসেবে দেখা উচিত।

আমরা বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে আহ্বান জানাই, তাদের এই অংশগ্রহণের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুন। কারা যাচ্ছে? কোথা থেকে যাচ্ছে? কীভাবে ট্রানজিট হচ্ছে? কে পেছন থেকে চালনা করছে? এসব ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করুন। 

সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি এখন সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও টেরিটোরিয়াল ইনফিল্ট্রেশন (territorial infiltration) চালাচ্ছে। তারা স্থানীয় কিছু নিরীহ উপজাতিদের মধ্যেও বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনা উসকে দিচ্ছে, তরুণদেরকে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে রিক্রুট করাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের ভেতরে থেকেই তৈরি হচ্ছে একটি "ethno-political sleeper cell" এর ভিত্তি।

আরেকটি ভয়ঙ্কর দিক হলো—আরাকান আর্মি যেভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, তা বহু সময় ঢাকা পড়ে যায়। তারা এখনো শত শত রোহিঙ্গাকে গরু-মুরগির খাঁচার মতো ভাঙা ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহভাজনদের চোখ বেঁধে মারধর করচে , অনেক সময় অপহরণ করে ‘শত্রুর দোসর’ নাম দিয়ে নানা ধরনের শাস্তি দিচ্ছে। তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বহু রোহিঙ্গা পরিবার চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, অথচ বাইরের দুনিয়ায় এই নিপীড়নের খবর তেমন পৌঁছায় না।

এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এখন আমাদের কারোরই নীরব থাকার সুযোগ নেই। তাই জাতীয় নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিষয়গুলো নিয়ে এখন রাজনৈতিক বিবেচনা নয়, প্রয়োজন একটি সাহসী ও সুসংহত রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা নীতি (integrated defense policy)।

যে তরুণরা সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, তাদের পেছনে কে বা কারা রয়েছে। কীভাবে অর্থ আসছে? এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। সেইসাথে আরাকান আর্মির প্রতি কারা বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে সহানুভূতি।

Post a Comment

Previous Post Next Post