চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া তৃণমূলের পছন্দ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল

মোঃ হাসানুর জামান বাবু

একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের কথা 

রাজনীতি কী, কাদের জন্য রাজনীতি বা কারা হবেন রাজনীতিবিদ- এ রকম প্রশ্ন মাঝেমধ্যে মনের ভেতর ঘুরপাক খেলেও এর সঠিক উত্তর খুঁজে পাই না। নিজের সাধারণ বিবেক যা বলে, বাস্তবে দেখতে পাই তার উল্টোটা। আমার স্বল্প জ্ঞানে এতটুকু বুঝতে পারি, রাজনীতি অর্থ সেবা দেওয়া এবং সেটা অবশ্যই জনগণের সেবা। মানুষের কল্যাণ ও অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করাই হলো রাজনীতি। আর একজন সত্যিকারের রাজনীতিবিদের কাছে রাজনীতি হবে একটি পেশা এবং সেবা দেওয়ার নেশা। তাদের মধ্যে থাকবে প্যাশন বা গভীর আবেগ। থাকবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা। একজন নেতার থাকবে নৈতিক মেরুদ- এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা। তাকে হতে হবে সৎ, নির্লোভ ও আদর্শবান। তাকে শুধু ক্ষমতার জন্য বুভুক্ষু থাকলে হবে না।

কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদের মধ্যে সেসব গুণ প্রায় অনুপস্থিত। গণমানুষ নয়, শুধুই ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতি। আদর্শের বালাই নেই। বিভিন্ন দলে কোন্দল, আদর্শবিচ্যুতি। এ কারণে রাজনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবকিছুর নিয়ন্তা হলেও তা মানুষকে এখন আর সেভাবে স্পর্শ করছে না। এক দশক আগেও কোনো না কোনোভাবে রাজনীতি মানুষকে ভাবাত। রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও আগের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে সৌজন্যবোধ, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সহানুভূতির ঘাটতি ছিল না। এখন সে জায়গাগুলো উধাও। তাই বর্তমান রাজনীতি নিয়ে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে আসতে চাইছে না। সেই জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে স্বল্পশিক্ষিত দুর্বৃত্ত শ্রেণি ও টাকার কুমিররা।

তবে আশার কথা হলো এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৎ, আদর্শবান অনেক নেতা রয়েছেন, যারা দেশের সম্পদ আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। তারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কেবল মানুষের স্বার্থের রাজনীতি করেন। লোভ, প্রতিহিংসা, ক্ষমতার দাপটের পরিবর্তে সততা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সেবার মানসিকতা তাদের মধ্যে বিরাজমান। তারা ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে রেখেছেন রাজনীতিকে। তবে সততা বজায় রাখতে গিয়ে পদে পদে তাদের প্রতিবন্ধকতা ও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে এবং  হচ্ছে। তারপরও নিজ আদর্শে অটল ও অবিচল তারা। আজ এমনই একজন রাজনীতিবিদের কথা লিখছি, যাকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি হলেন প্রিয় মুখ, চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া  আসনের সাবেক একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর পটিয়ার  মাটি ও মানুষের জনপ্রিয় শিক্ষিত মার্জিন ভদ্র নম্র বিচক্ষণ দূরদর্শী পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল।

সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, ব্যক্তিত্বে অমায়িক, কথাবার্তায় বিনয়ী, চলাফেরায় নম্র ও দরাজ কণ্ঠের অধিকারী গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল  ভাই একজন সফল ব্যবসায়ী ও সফল রাজনীতিবিদ, সফল সংগঠক ও আলোকিত মানুষ। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপির রাজনীতির অনুসরণ, অনুকরণ ও মনেপ্রাণে অন্তঃকরণের লালন করে ছাত্রজীবন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির চর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের আগামনী বার্তাটা পৌঁছে দেন সকলের মাঝে।তারপর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের  ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনীতি করেছেন দলের চরম দুঃসময়ে, নিজের মেধা বিচক্ষণতা সাহসীকতার সাথে ।তারপর ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি থেকে।মনোনয়ন পেয়েই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ আসন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী জেলা নেতাকে ধরাশায়ী করে অতি অল্প বয়সে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সারাদেশে আলোচনার ঝড় তুলে।সেইবার গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল এর দল বিএনপি সরকার গঠন করতে না পারলেও তিনি নিজে মেধাও প্রজ্ঞাবলে সফলতার সাথে  পাঁচ বছর এমপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে তার স্বাবলীল ভাষায় কথাবার্তা বক্তব্য বিবৃতি শুনে সংসদে দেশে এবং নিজের নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ জনগণের কাছে হয়ে উঠেন আরো জনপ্রিয়ও চট্গ্রাম-১২ পটিয়া সংসদীয় আসনের বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ও সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের কাছে আশা  প্রতীক। যার ফলশ্রুতিতে ও নিজের মেধা বিচক্ষণতায় তিনি পরবর্তী ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন লাভ করেন এবং এবারও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট সিনিয়র নেতাকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।এবং সেই বার অথাৎ ২০০১ সালে সারা দেশে বিএনপি ও চারদলীয় ঐক্য জোট বিপুল সংখ্যাঘরিষ্ঠ(দুই তৃতীয়াংশের বেশি) আসন পেয়ে সরকার গঠন করলে জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল পটিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ আগের সরকারের আমলে করতে পারেনি এমন সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সহ পটিয়া আনাচকানাচে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে চিরদিনের জন্য পটিয়ার জনগণের মনে স্হান করে নিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে এখনো পটিয়াতে পুরানো বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীদের মাঝে ও প্রবীণ শিক্ষিত মার্জিন ভদ্র নম্র জনগণের মানসপটে জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল একটি নাম একটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সততার জনসেবা  সহজে নিজের কাছে পাওয়া একজন নেতা হিসেবে স্হায়ী ভাবে স্হান করে নিয়েছেন। যা পটিয়ার মানুষ এখনো ভুলতে পারছেনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পটিয়া যেখানে জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল এর উপস্থিতি সেইখানে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হাজারো জনতা, হাজারো নেতাকর্মীর ভীড় লক্ষ্য করছি আমরা।  তিনি শুধু ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন শুধু তাই নয়, তিনি রাজনীতিতেও প্রজ্ঞা ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে এগিয়ে গেছেন বীরদর্পে।বিএনপির রাজনীতির সংগ্রামী এ আদর্শ তৃনমুল থেকে রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরণ করছেন। চট্টরাম-১২ পটিয়া  যেনো তার অস্তিত্ব ও হৃদয়জুড়ে। তার মননে, মগজে একাকার হয়ে আছে চট্টরাম-১২ পটিয়ার মাটি ও মানুষ। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময়ও দেখেছি, অবধারিতভাবেই তার মুখ থেকে বের হয়ে আসে পটিয়ার সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মী প্রসঙ্গ। শেকড়ের প্রতি, এলাকার প্রতি, এলাকাবাসীর প্রতি এমন দরদ, মমতা, আবেগ আর অকৃত্রিম ভালোবাসা কোনো রাজনীতিবিদের থাকতে পারে, জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল ভাইকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কী করলে পটিয়া সারা দেশের মধ্যে রোলমডেল হবে, কী করলে পটিয়াবাসী স্বস্তি ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কী করলে পটিয়ার মানুষ সম্মানিত হবে, কী করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পটিয়াকে মনপ্রাণ দিয়ে আগলে রাখবে সেসব চিন্তা-চেতনা, ভাবনা, স্বপ্ন সারাক্ষণ তাকে বিভোর করে রাখে। তাই তো পটিয়া বাসী তাঁকে একান্ত আপন করে নিয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখে, বিপদ-আপদে সর্বাগ্রে প্রিয় নেতারই সান্নিধ্য কামনা করেন তারা।

চট্টরাম পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এয়াকুবদন্ডী গ্রামের এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত  পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল  একাধারে রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, সংগঠক, ক্রীড়ানুরাগী সাংস্কৃতিক সংগঠন ।তিনি বুকে টেনে নেন পটিয়া উপজেলার ক্লান্ত-শ্রান্ত-ঘর্মাক্ত কৃষক-শ্রমিককে আর আপন করে নেন আপামর জনতাকে। একান্তে কথা বলেন পটিয়ার মাটির সঙ্গে, বাতাসের সঙ্গে আর স্বপ্ন দেখেন পটিয়াকে নিয়ে। পটিয়াবাসীও তাকে কাছে টেনে নেন, সুখ-দুঃখের গল্প শোনান।

লেখক:- মিডিয়া কর্মী ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজকর্মী।

Post a Comment

Previous Post Next Post